April 28, 2024, 8:00 pm

বগুড়ায় ছাত্রলীগ নেতার নামে ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ

ষ্টাফ রিপোর্টার: শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বগুড়া সদর থানায় রিয়াজুল ইসলাম শুভ নামে এক ব্যক্তি বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট আল-আমিন হোসেন পাপ্পু র বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন।

অভিযোগে লেখা রয়েছে বগুড়া সদর থানাধীন মাটিডালি উত্তরপাড়া, সাইফুল ইসলামের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম শুভ (২৭), বলেন আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বগুড়া সদর থানাধীন মাটিডালি উপজেলা পরিষদের পূর্ব পার্শ্বে কার একচেঞ্জ বগুড়া শো-রুমে ব্যবসা করিয়া আসিতেছি।

এমতাবস্থায় গত ২০২৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বগুড়া সদর থানাধীন নারুলী পশ্চিমপাড়ার মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে আল আমিন হোসেন পাপ্পু (২৯), আমার উক্ত শো-রুমে গিয়ে একটি প্রাইভেটকার ক্রয় করে, যাহার রেজি নং ঢাকা-মেট্রো-গ-১৫-৪১০৫, প্রস্তুতকারক-জাপান, তৈরী সন-১৯৯৯, চেসিস নং-EE111-5057818, নিদি: ১৩৩১, মোট মূলা ৪,৮০,০০০/-(চার লক্ষ আশি হাজার) টাকা নিয়ে ক্রয় করে এবং উক্ত গাড়ীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তাহাকে বুঝিয়া দেওয়া হয়।

তবে উক্ত প্রাইভেটকার গাড়ীর টেক্স টোকেন এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তারিখে আমার উক্ত শো-রুমের সামনে আনিয়া এবং মোবাইল নম্বর ০১৫২১-৩২৫৭১০ থেকে আমাকে তাহার গাড়ীর টেক্স টোকেনটি আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত আপডেট করিয়া দেওয়ার জন্য বার বার চাপ প্রয়োগ করিয়া আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শন করিতে থাকে।

এরই ভিত্তিতে শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারী দুপুর অনুমান ০৩.০০ ঘটিকার সময় জেলা ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট আল-আমিন হোসেন পাপ্পুসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫ থেকে ৬ জন মোটরসাইকেল নিয়ে আমার শো-রুমের সামনে আসিয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে।

তখন আমি তাহাদেরকে গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে উপরোক্ত বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে জোর পূর্বক ভাবে তাহাদের মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে গিয়ে ০১ নং বিরক্ষীর বাড়ী বগুড়া সদর থানাধীন নারুলী পশ্চিমপাড়া কৃষি ফার্মের পার্শে একটি চাতালে নিয়ে গিয়ে সবাই মিলে আমাকে এলোপাথারী কিল, ঘুষি ও লাথি মারিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা ফোলা জখম করে এবং ০১ নং বিবাদী তাহার ফুল প্যান্টের পকেট হইতে একটি ধারালো চাকু বাহির করিয়া জোর পূর্বক ভাবে আমার ফুল প্যান্টের ডান পকেট হইতে নগদ ৪৫,০০০/-(পয়তাল্লিশ হাজার) টাকা বাহির করিয়া নেয়।

এ সময় আমি চিৎকার করিতে থাকিলে আশপাশ হইতে স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে উপরোক্ত সকল বিবাদীগণ আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শন করিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল হইতে চলে যায়। পরবর্তীতে আমি স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় মোহাম্মাদ আলী হাসপাতাল বগুড়ায় চিকিৎসা গ্রহন করি।

এই ঘটনার সাক্ষী ১। মোঃ নিয়ামুল কবির (৩০), পিতা- মোঃ মাহফুজার রহমান, সাং-জলেশ্বরীতলা, ২। মোঃ সাইফুল ইসলাম (৫৫), পিতা-মৃত সোবাহান। শেখ, সাং-মাটিডালি উত্তরপাড়া, ৩। মোঃ সোহাগ (২৫), পিতা-মৃত সিরাজ, সাং-চেলোপাড়া, সকলের থানা ও জেলা-বগুড়াগণ সহ আরো অনেকেই জানে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রিয়াজুল ইসলাম শুভ বলেন বর্তমানে আমি সহ আমার পরিবারের সকল সদস্যগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি এবং স্বাধীন ভাবে চলাফেরার উদ্বিগ্নের সৃষ্টি হইতেছে। পরবর্তীতে আমি আমার আত্মীয় স্বজনদের সহিত আলাপ-আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করি।

এ বিষয়ে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা জানান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোন অপরাধকে প্রচ্ছয় দেয় না এবং কখনো দেবে না, আল আমিন হোসেন পাপ্পু যদি কোন দোষ করে থাকে আইন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। সে দোষী প্রমাণিত হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তবে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর ফিরোজ বলেন, আমি অভিযোগের তদন্ত করছি, তদন্ত সাপেক্ষে যে দোষি সে আইন অনুযায়ী সাজা পাবে, সে ছাত্রলীগ হোক বা কোন সাধারণ কেউ হোক। আইন আইনের গতিতে চলবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD